১২ বছরেও প্রতিবন্ধি ভাতার কার্ড পায়নি পঙ্গু ইব্রাহিম ॥ সন্তানদের নিয়ে বাচতে চায় সে

0
558

ইমতিয়াজুর রহমান॥

দুই পা হারানের ১২ বছরেও প্রতিবন্ধি ভাতার কার্ড মিলেনি বোরহান উদ্দিনের শারিরিক প্রতিবন্ধি মো: ইব্রাহিমের । বেচে থাকার তাগিদে  ভিক্ষা করে দিন কাটতো ইব্রাহিম । এর পরেও অভাবে অনটনে সংসারের ঘানি বইতে  না পেরে ২ ছেলে ১ মেয়ে ও স্ত্রী কে নিয়ে একটু ভালো ভাবে বাচার আশায়  বোরহান উদ্দিন থেকে ভোলা সদরে পারি জমায় ইব্রাহিম । কিন্তু  বিধি বাম । দূভাগ্য যেন পিছু ছারছে না ইব্রাহিমের পরিবারের । বড় ছেলে সাইফুল (১০) ভুগছে নানা রকম সমস্যায় । একে তো নিজের পঙ্গুত্ব অপর দিকে ছেলের অসুস্থতা  উভয় সংকটে পরে দিশেহারা ইব্রাহিম । ইব্রাহিম বাচতে চায় । সন্তানদের মানুষ করতে চায় ।

বোরহান উদ্দিন  উপজেলার  পক্ষিয়া ইউনিয়নের  ৭নং ওয়ার্ড এলাকার  সৈয়দ কেরানি বাড়ির বাসিন্দা মজিবরের ছেলে ইব্রাহিম । কৃষিকাজ ও অন্যান্ন সময়ে ব্রিকফিল্ডে কাজ করে জিবিকা র্নিবাহ করত । প্রায় ১২ বছর আগে বিবাহ করে । বিয়ের প্রায় বছর খানেক পরে হটাৎ অজানা অসুখের কারনে পা ২টি বিকল হয়ে যায় । পরে ডাক্তারের পরার্মশে পা ২টি কেটে ফেলা হয় । ২ পা হারানের পর থেকেই পঙ্গুরেত্বর কারনে বেকার ।  জীবনের তাগিদে ভিক্ষা করে জীবন র্নিবাহ করত সে । প্রতিবন্ধি ভাতার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ালেও কাজ হয়নি তার । কয়েক বছর ধরে প্রতিবন্ধি কার্ডের জন্য , ভাতা পাওয়ার আশায় বিভিন্ন মহলে , দপ্তরে দৌরালেও কাজ হয় নি। ভিক্ষা বৃত্তি করেও সংসার না চলায় সে তার গ্রামের বাড়ি ছেরে  চলে আসে ভোলা সদরের কালিবাড়ি রোড ভদ্রপাড়া এলাকায় । ঝুপরি ঘর ভারা নিয়ে কোন রকম ভাবে জীবন জাপন করছে সে । তার স্ত্রী পরের বাসায় কাজ করে , আর সে নতুন বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষা বৃত্তি করে জীবন নির্বাহ করছে ।

ইব্রাহিমের সাথে কথা বললে   সে তার জীবনের এই করুন কাহিনি জানায় । সে জানায় সরকার কত মানষকেইতো সহায়তা করে , আমার বেলায় কেন এই  অবিচার ? । আমার ছেলেটাও অসুস্থ । আগে স্কুলে যেত । এখন আর স্কুলে যেতে পারছে না।  আশা ছিল আমি প্রতিবন্ধি, কিন্তু ছেলেটা পড়ালেখা শিখে মানুষ হবে  ,কিন্তু তা আর হলে কই । কান্না জরিত কন্ঠে  সে তার পরিবার কে নিয়ে বাচার আকুতি প্রকাশ করেছে ।  সে জানায় তার বড়  ছেলে  সাইফুল আগে স্কুলে যেত এখন হার্নিয়া সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত । অসুখের কারনে লেখাপরা বন্ধ । কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা চালাতে পারে না। অসুস্থ ছেলের জীবন বাচানের জন্য,নিজে দুমুঠো খেয়ে বাচার জন্য   সমাজের বৃত্তবান দের কাছে সাহায্যে আকুতি যানিয়েছেন ইব্রাহিম ।

LEAVE A REPLY