ভোলার চামড়ার ব্যবসায়ীদের মাঝে হতাশা লোকসানের আশংকা

ভোলার চামড়ার ব্যবসায়ীদের মাঝে হতাশা লোকসানের আশংকা

0
387

আরিফ উদ্দিন রনি।।  ট্যানারি মালিকদের কাছ থেকে টাকা না পাওয়ায় স্থানীয় আড়ৎদাররা চামড়া খুব বেশি ক্রয় করতে না পারলেও থেমে নেই মাদ্রাসা আর মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। চামড়ার দাম কম খরচ বেশি’র কারনে লোকসানের চিন্তা স্থানীয় আড়ৎদারদের মাঝে।

কোরবানী আসলেই সারাদেশের মত ভোলার চামড়ার স্থানীয় আড়ৎগুলো বেশ সরগম হয়ে উঠে। এসব চামড়ার আড়ৎগুলোতে মৌসুমী ব্যবসায়ী আর আড়ৎদাররা ব্যস্ত সময় কাটান ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে। মুখরীত থাকে ভোলা শহরের কালিনাথ রায়ের বাজার এলাকাসহ এর আশপাশের সড়ক। ক্রয় আর রক্ষনাবেক্ষনের কাজ সবই চলে একইসাথে। শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া ভোলার খালের পানিতে ফেলে ধোয়ার কাজ চলে সার্বক্ষনিক। এজন্য আলাদা লোক রয়েছে। এস্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ী বলেন,চামড়ার দাম কম হওয়াতে কোরবানীর চামড়া বিক্রি না করে স্থানীয় মাদ্রাসায় দান করে দেয়ায় আড়ৎদাররা চামড়া কিনতে পেরেছেন অনেক কম। মৌসুমী ব্যবসায়ীদের প্রভাব রয়েছে বেশ ভালোই। তার উপর লবনের অতিরিক্ত দাম,লেবার খরচ সবকিছু বেশির সমস্যা রয়েছেই। এদিকে স্থানীয় আড়ৎদারদের দেয়া অভিযোগের সত্যতা মিলে শহরের মাদ্রাসাগুলোতে গেলে। সেখানে একই দৃশ্য। চামড়া ধোয়া,রক্ষনাবেক্ষনের জন্য চামড়া থেকে অতিরিক্ত মাংস ছাড়ানো সব হচ্ছে এখানে। পানিতে ধুয়ে পুনরায় বাঁশের উপর ঝুলিয়ে পানি ঝড়ানো সবই করছেন মাদ্রাসার শিক্ষক আর শিক্ষার্থীরা। মাদ্রাসায় এবছর বেশি চামড়া ফ্রি পাওয়াতে বেশ খুশি বলেন,শহরের একটি মাদ্রাসার পরিচালন মো: হারুন। তিনি আরো বলেন,এসব চামড়া বিক্রি করে মাদ্রাসার উন্নয়ন আর এতিম ছাত্রদের খাবারের খরচে ব্যায় করার কথা বল্লেন শহরের একটি মাদ্রাসার এই পরিচালক।

সিনিয়র চামড়া ব্যবসাযী বলেন,গত ৪থেকে ৫বছর ধরে চামড়ার দাম কম,ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছ থেকে টাকা না পাওয়ায় চামড়া ক্রয় করেছেন কম ভোলার আড়ৎদাররা। তার উপর মৌসুমী ব্যবসায়ী আর মাদ্রাসাগুলোকে পশুর চামড়া ফ্রি দিচ্ছে প্রায় সকলেই। তাই চামড়া ক্রয় না হতেই হতাশা আর লোকসানের আশংকা এসব সিনিয়র আড়ৎদারদের মাঝে। চামড়া শিল্পকে বাচিয়ে রাখতে এর দাম পুন্য নির্ধারন,লবনের দাম কমানো থেকে শুরু করে স্থানীয় আড়ৎদারদের টাকা নিয়মিত পাওয়ার ব্যবস্থা ভুক্তভোগীদের।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY